Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজয়ের মাস জুড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন: সারাদেশে দেড় হাজার যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে একযোগে শুরু হলো ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-19

বিজয়ের মাস জুড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন:

সারাদেশে দেড় হাজার যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে একযোগে শুরু হলো ৯ দিনব্যাপী

গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব

 

“এক সময় আমাদের ছয়শত একুইস্টিক যন্ত্র ছিলো এই দেশে, কালের গর্ভে অনেক যন্ত্র হারিয়ে গেছে। যেগুলো আছে তা আর হারাতে চাই না, সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যন্ত্রসংগীতের মিউজিয়াম করতে চাই তার মাধ্যমে সকল যন্ত্রের সুর সংরক্ষণ করা হবে”।  - জনাব লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্র সংগীত উৎসব এবং অ্যাক্রোবেটিক উৎসব”। এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব।

আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সারাদেশে একযোগে উদ্বোধন করা হলো গণজাগরণের যন্ত্রসংগীত উতসব। সারাদেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য একাডেমির সচিব জনাব সালাউদ্দিন আহাম্মদ ও যন্ত্রসংগীত শিল্পী মনিরুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন থেকে অনুষ্ঠানে সরাসরি সম্প্রচারে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসকগণ এবং জেলা কালচারাল অফিসারগণ।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন-“সবধরনের অপপ্রচার পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই সংস্কৃতির ভুমিতে দাড়িয়েঁ সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে”।

তিনি বলেন- “সারাদেশের দেড় হাজার যন্ত্রশিল্পী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত আছে, তাদের সাধুবাদ জানাই। এক সময় আমাদের ছয়শত একুইস্টিক যন্ত্র ছিলো এই দেশে কালের গর্ভে অনেক যন্ত্র হারিয়ে গেছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যন্ত্রসংগীতের মিউজিয়াম করতে চাই তার মাধ্যমে সকল যন্ত্রের সুর সংরক্ষণ করা হবে। সারাদেশে যত যন্ত্রশিল্পী আছে তাদের তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। যারা যন্ত্র  তৈরী করে তারাও বড় শিল্পী তাদের পৃষ্টপোষকতা করতে চাই”।

 

মহাপরিচালক আরো বলেন- “আমরা ২য় বারের মত জাতীয় পর্যায়ে যন্ত্র সংগীত উতসব আয়োজন করলাম। আমাদের শক্তি, আমাদের বল- আমাদের ভাষা, আমাদের হাজার হাজার মনিষীরা। আমাদের দেশ সৃজনশীল ১৭ কোটি মানুষের মাঝে আমরা সংস্কৃতির পরিবার গড়ে তুলতে চাই”।

এরপর যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুজ্জামান। ৮-২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব।

 

‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হলো মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা।

১৭-২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৯ দিনব্যাপী চলবে উতসব

 

আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব এর ২য় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু’ সমবেত নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হলো গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উতসবের ২য় দিনের পরিবেশনা। নৃত্য পরিবেশন করে ধ্রুপদি নৃত্যালয়, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন স্নাতা শাহরীন।পরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে পল্লবী ডান্স সেন্টার (নৃত্য পরিচালক- মিনু হক) ‘জন্ম আমার জন্মেছি মা’। আবারো সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ম্যাশ মাহাবুব কোরিওগ্রাফি টিম, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মাশরুর ও মাহাবুব। তারা পরিবেশন করেন ‘বলবীর’। ২য়বার সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ধ্রুপদি নৃত্যালয় (নৃত্য পরিচালক- স্নাতা শাহরীন) ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে পল্লবী ডান্স সেন্টার (নৃত্য পরিচালক- মিনু হক) ‘জয় সত্যের জয়’। আবারো সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন ম্যাশ মাহাবুব কোরিওগ্রাফি টিম (নৃত্য পরিচালক- মাশরুর ও মাহাবুব) ‘নদীর কূল নাই’ এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্য শিল্পীরা।

একক পরিবেশন করেন শিল্পী ইমামুর রশীদ; বর্ণলী সরকার। সংগীত পরিবেশন করেন আজিজুর রহমান তুহিন ‘এখন আর দেরী নয়’; একক সংগীত পরিবেশন করেন অনিমা মুক্তি গোমেজ। এরপর তালিকাভুক্ত প্রতিশ্রুতিশীল সংগীত শিল্পীরা পরিবেশন করে। বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। আলগা রায় (রাশিয়া) সংগীত পরিবেশন করেন। আবৃত্তি পাঠ করেন রেজিনা ওয়ালী নীলা ও গোলাম সারোয়ার। এছাড়াও তারকা শিল্পী হিসেবে পরিবেশনায় যুক্ত হোন ফজলুর রহমান বাবু এবং ছবি।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মনসুর বিপ্লব।

 

১৭-২৩ ডিসেম্বর ঢাকার ৩৬ টি স্থানে প্রদর্শিত হচ্ছে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী:

অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী:

আজ ২য় দিনে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশিত হয়েছে গণজাগরণের অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমান অ্যাক্রোবেটিক দল ঢাকা মহানগরের ৩৬ টি স্থানে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করবে। দ্বিতীয় দিনের  প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠ, শেখ রাসেল মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে। ১৭-২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে এ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ভ্রাম্যমানভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আগামিকাল অ্যাক্রোবেটিক দল মহানগরের  কেরানিগঞ্জ আটি বাজার, মোহাম্মদপুর, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, রায়েরবাজার, বসিলা ব্রীজ, ঢাকা উদ্যান ও মোহাম্মদপুরে ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী করবে।