Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৩য় দিনের আয়োজনে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ ও বরিশাল বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত।


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-05

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৩য় দিনের আয়োজনে

‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ ও বরিশাল বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত।

 

“বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সকল শিল্পের শিল্পীরা যেন পেশাভিত্তিক শিল্পচর্চা করতে পারে, সেই জায়গাই আমরা পৌছে যেতে চাই- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

 

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘গণজাগরণের সংগীত’এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণে ২-৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব।’

 

গণজাগরণের সংগীত উৎসব

আজ ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬ দিনব্যাপী গণজাগরণের সংগীত উৎসব এর তৃতীয় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অংশগ্রহণে চলছে এই উৎসব। ৩য় দিনে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১ম পর্বে রাগিনী দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘ধন্যধান্য পুষ্পভরা’ ও   বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ পরিবেশিত হয়েছে। এর পর একক সংগীত ‘আমি খুঁজে বেড়াই’ পরিবেশন করেন জেবুন্নেছা সরকার নিঝুম। একক সংগীত পরিবেশন করেন মো: মতিউর রহমান ‘তুমি রবে নীরবে’, নাসরিন আক্তার পরিবেশন করেন ‘কে আবার বাজায় বাঁশি’। এর পর একক সংগীত পরিবেশন করেন  মো: সম্রাট আকবর,  ‘আজো মধুর বাঁশরি বাজে’। হিমাদ্রী বিশ্বাস পরিবেশন করেন ‘জীবনানন্দ হয়ে’।  রথিন টিকাদার পরিবেশন করেন ‘কে তুমি তন্দ্রা হরণী’। দেশের গান পরিবেশন করেন নূর-ই- জান্নাত, ‘একটি বাংলাদেশ’। যশোদা রাণী রায় সংগীত পরিবেশন করেন ‘ভালো লাগে’।

এরপর দিলরুবা আক্তারের কন্ঠে পরিবেশিত হয় জনপ্রিয় সঙ্গীত `সাদা সাদা কালা কালা’।  একক সংগীত পরিবেশন করেন মিরাজ শিকদার `গুরুগত না হইলে’। আবারো একক সংগীত পরিবেশন করেন শারমিন জাহান কেয়া ‘এ এমন পরিচয় (সোলস)’।  দিপা মন্ডল একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘এমন মায়ার কান্দন’, ফারজানা বেগম পরিবেশন করেন ‘দু:খ ভালোবেসে প্রেমের খেলা। সুবর্ণা রহমান পরিবেশন করেন ‘তরীতে বাসনা থাকে’, নুসরাত জাহান লিলি পরিবেশন করেন ‘এক চোখে হাসন কান্দে’, শিমুল দ্বীপ বিজন পরিবেশন করেন ‘নীলাঞ্জনা নীল নীল চোখে’, শাকিল নাজরিন পরিবেশন করেন ‘তিস্তা পারের-ভাওয়াইয়া’, সৈয়দ মাসুমুর রহমান পরিবেশন করেন ‘বেঁচে আছি কিনা মরে গেছি’, বর্ণালী চৌধুরী পরিবেশন করেন ‘ফাল্গুনে আইসাছি নাইওর’। এরপর পরিবেশিত হয় নিলুফার সুলতানার কন্ঠে চলচ্চিত্রের গান ‘যার ছায়া পরেছে’। এছাড়াও পরিবেশিত হয় দ্বীপ বাপ্পি ও তাসলিমা ইসলামের কন্ঠে সংগীত।

 

২য় পর্বে নন্দনমঞ্চের এ আয়োজনে সুরধ্বনি দলের পরিবেশনায় দলীয় সংগীত ‘আমার দেশের মতন এমন’ ও চল চল চল’ এবং ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের’ ও ‘বান এসেছে মরা গাঙ্গে’পরিবেশিত হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম এর কন্ঠে একক সংগীত ‘ভেবো না গো মা’ পরিবেশিত হয়। শিল্পী চক্রবর্তীর কন্ঠে ‘মম মধুর মিনতি’;  খুকু রানী দাসের কন্ঠে ‘বিনোদিনী গো’এবং জুলি শমিলীর কন্ঠে ‘ওগো মধুমিতা’সংগীত পরিবেশিত হয়। শহীদুজ্জামান মামুনের কন্ঠে ‘আমি বৃষ্টির কাছে থেকে’পরিবেশন করেন। ,

ফেরদৌস আরা বেগম পরিবেশন করেন নজরুল সংগীত ‘আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু,’ সুনীল মূত্রধর পরিবেশন করেন ‘কে তুমি বসি নদীর কূলে’, মমতাজ রহমান লাবনী পরিবেশন করেন ‘পাথরের পৃথিবীতে কাঁচের হৃদয়’, অনুপম চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘ওগো বিদেশিনী তোমার চেরী’, প্রিয়াংকা হালদার ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’, পরিমল কুমার ‘ আমায় ভাসাইলিরে’ পরিবেশন করেন। এরপর আবারো পুনম মির্জা পরিবেশন করেন আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, পলাশ শীল পরিবেশন করেন ‘কে বলে পাগল’, শিল্পী মো: আব্দুর রউফ পরিবেশন করেন ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’। কাজল মনির কন্ঠে পরিবেশিত হয় ‘করিমানা কাম ছাড়ে না’, মো: খাজা জামান পরিবেশন করেন নী‘লা তুমি কী চাওনা’।  সবশেষে পরিবেশিত হয় দলীয় সঙ্গীত ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষের’ এবং‘ বান এসেছে মরা গাঙে’।

 

৬ দিনব্যাপী সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে - অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী। ৩য় দিনের আয়োজনে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন মো: আব্দুল্লাহেল রাফি তালুকদার, অন্তরা রহমান, মো: হীরক সরদার এবং আবিদা রহমান সেতু। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ সংগীত উৎসব।

 

এদিকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ বরিশাল জেলায় বিভাগীয় পর্যায়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সকল শিল্পের শিল্পীরা যেন পেশাভিত্তিক শিল্পচর্চা করতে পারে, সেই জায়গাই আমরা পৌছে যেতে চাই। ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে সেই কথাটি তিনি ১৯৭৪ সালেই বলেছিলেন। সেই সূত্রেই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যারা ভুমিকা রেখেছেন তাদের হাতে হাত রেখে আমরা কাজ করে যেতে চাই। এভাবেই আন্তর্জাতিক পরিসরেও আমরা পৌছে যাব “।

  জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যাবস্থাপনায় সারাদেশে ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব আয়োজন চলছে।