Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st অক্টোবর ২০২১

লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধান দিবসে সাত জন লালন গবেষণক ও সাধকে সম্মাননা স্মারক প্রদান


প্রকাশন তারিখ : 2021-10-16

সাধুমেলা২০১৯ সাল থেকে প্রতিমাসের পূর্ণিমা তিথিতে “সাধুমেলা” আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৬ অক্টোবর ২০২১ লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধন দিবস উপলক্ষে “লালন স্মরণোৎসব” ও সাধুমেলার ৩১তম আসর আয়োজন করা হয়েছে। মানবতার মহান সাধক ফকির লালন সাঁই ১৭৭৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার অন্তর্গত চাপাড়া, ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী কবি। তাঁর মর্মস্পর্শী পদাবলি বাংলার সহজ সরলমনা সঙ্গীত প্রেমীদের আত্মার খোরাক। দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ লালন ফকিরের ভাববাণীকে নিজ জীবনের ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছেন।

ফকির লালন সাঁইজির অবদান মূল্যায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে এ মহৎ পদকর্তার সংগীত ভান্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে তার আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করা লক্ষ্যে এ সাধুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শিল্পগুরু ঋদ্ধিমান লিয়াকত আলী লাকী-এর ভাবনা, পরিকল্পনায় প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২১ বিকেল ৫টায় একাডেমির বাউলকুঞ্জে লালন সাঁইজির “১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসব এর আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবুল মনসুর। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সচিব মো: আছাদুজ্জামান। আলোচনা করবেন ফকির নহীর শাহ্ ও দেবোরাহ জান্নাত। 

লালন গবেষণা ও সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রথম বারেরমতো সাত জন লালন গবেষণক ও সাধক-কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। লালন গবেষণায় সম্মাননা স্মারক পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. শক্তিনাথ ঝা (ভারত)। লালন সাধনায় সম্মাননা পাচ্ছেন পার্বতী দাস বাউল (ভারত), ফকির মোহাম্মদ আলী শাহ (কুষ্টিয়া), ফকির আজমল শাহ্ (ফরিদপুর), নিজাম উদ্দিন লালনী (মাগুরা), শুরু বালা রায় (ঠাকুরগাঁও)। সম্মাননা স্মারক হিসেবে প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি করে ক্রেষ্ট, স্মারকপত্র ও পঁচিশ হাজার টাকা।