Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৫ম দিনে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’ ও রংপুর বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত।


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-07

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৫ম দিনে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব’

ও রংপুর বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত।

       

`সংস্কৃতি চর্চা মানে সুন্দরের চর্চা, সুন্দর কল্যাণই সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম উপাদান’- লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘গণজাগরণের সংগীত’এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ৫ শতাধিক শিল্পীবার অংশগ্রহণে ২-১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলছে ‘গণজাগরণের সংগীত উৎসব।’

`গণজাগরণের সংগীত উৎসব

আজ ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬ দিনব্যাপী গণজাগরণের সংগীত উৎসব এর ৫ম দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের অংশগ্রহণে চলছে উৎসব। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনিক বোস এর নৃত্য পরিচালনায় পরিবেশিত হয় ‘সেদিন আকাশে ছিলনা তারা’ দলীয় নৃত্য। এর পর একক সংগীত পরিবেশন করেন প্রজ্ঞা লাবণী ‘ঘরেতে ভ্রমন এলো’। আবারো একক সংগীত ‘মাগো ভাবনা কেন’ পরিবেশন করেন মো: রাসেল। ‘দূর বেনুকুঞ্জে’ পরিবেশন করেন লাইসা বিনতে কামাল। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন ‘আমরা করবো জয় ও ‘বাংলা হিন্দু’।

আবারো ধারাবাহিকভাবে পরিবেশিত হয় একক সংগীত ‘আমি অকৃতি অধম’পরিবেশনায় সুজানা হোসেন রুপা। ‘দিন বাড়ি যায়’পরিবেশন করেন রাজীব দাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যদল দীক্ষা; ‘অনুভব‘  । ‘পাক সীতা মোর আউলাইল’পরিবেশন করেন সন্ধ্যা রানী। ‘ইশারায় শীষ দিয়ে যায়’একক সংগীত পরিবেশন করেন মালিন টুকটুকি সাধন। ‘তুমি আমার মনের মানুষ’পরিবেশন করেন সোমা দান। একক সংগীত ‘জানিতে চাই দয়াল তোমার’ পরিবেশন করেন তাসমিনা আক্তার। 

স্পন্দন নৃত্যদল পরিবেশন করে ‘আজ কেন মোর প্রাণ সজনী’ নৃত্য পরিচালনায় সুইটি দাস চৌধুরী। আবারো একক সংগীত ‘বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি’ পরিবেশন করেন আলমিনা আক্তার। ‘আমার প্রাণবন্ধু আসিয়া’পরিবেশন করেন অবিনাশ বাউল। ‘না জানি কোন’ পরিবেশন করেন রুমা আক্তার।

এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ ‘নোঙ্গর ছাড়িয়া’ এবং দেশের গান ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’। এরপর আবারো একক সঙ্গীত ‘অনেক সাধনার পরে পরিবেশন করেন লিপসা লাইলা। ‘রুপ সাগরে ঝলক মারিয়া’সংগীত পরিবেশন করেন, হাবিব সিরাজী সবশেষে একক সঙ্গীত পরিবেশিত হয় ‘তিস্তা পাড়ের কন্যা’ পরিবেশন করেন ইসরাত জাহান।

সবশেষে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। সুইটি দাস চৌধুরী এর নৃত্য পরিচালনায় নৃত্যদল দীক্ষা পরিবেশন করে নৃত্য ‘ভয় কি মরণে (এন্ট্রি)’।

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলা এ সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে - অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী। ৫ম দিনের আয়োজনে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন ইমামুর রশিদ এবং সুস্মিতা দেবনাথ।

১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলা এ সংগীত উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত ১১ টি সংগীত দল পরিবেশন করছে - অন্তরা, সুরশ্রী, সঞ্চারী, রাগিনী, সুরধ্বনি, সুরসপ্তক, স্বরলিপি, গীতাঞ্জলি, গীতালি, সুরতরঙ্গ এবং সুরলহরী।

`গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব

এদিকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সকল বিভাগ ও জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ রংপুর বিভাগীয় পর্যায় ও সকল জেলা (ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী এবং গাইবান্ধা) এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সিলেট বিভাগের সকল জেলায় অনুষ্ঠিত হবে ‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ ।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন,  `সংস্কৃতি চর্চা মানেই সুন্দরের চর্চা, সুন্দর কল্যাণই সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম উপাদান’ । ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে ও জাগরণ তৈরীতে শিল্পীরাই অন্যতম ভুমিকা পালন করবে’।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যাবস্থাপনায় সারাদেশে ৬৪ জেলায় ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব আয়োজন চলছে।