Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে হাজার শিশুর অংশগ্রহণে শিশু উৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2018-09-28

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঐতিহ্যবাহী লাঠী খেলা, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র, বাউলগান, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নৃত্য, গান ও আবৃত্তি পরিবেশনায় হাজার শিশুর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু উৎসবের আয়োজন করেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে হাজার শিশুশিল্পীর কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  ইত:পূর্বে অনুষ্ঠিত ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তাদের মধ্য থেকে এক হাজার শিক্ষার্থী এই শিশু উৎসবে অংশ নেয়।

শিশু উৎসব‘উন্নয়নের ধ্বনি মহাসমুদ্রে, প্রাণে প্রাণে মাহাকাশে’ শ্লোগানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী শেখ হাসিনা’র ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই শিশু উৎসবের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথি, শিশু শিল্পী ও উপস্থিত সকলে বেলুন উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিত হয় ‘গঙ্গা-ঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৪০ মিনিটের একটি পারফর্মেন্স আর্ট। যেখানে প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে ২১০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অভিলক্ষ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এসময় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে চিত্রপটে ধারণ করেন বিশিষ্ট শিল্পী শাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সচিব মো: বদরুল আনম ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জাতীর পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই মাটিতে পা দিয়েছেন যেই মাটির জন্য রক্ত দিয়েছেন তাঁর পিতা। আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারি, এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনা হলেন ফিনিক্স পাখির মতো আগুন যার উপর বার বার আঘাত হানলেও দেশের মানুষের কথা ভেবে তিনি একটুও বিচলিত হয়নি।’ শিশুদের উদ্দ্যেশে মাননীয় মন্ত্রী বলেন ‘আমরা সবাই তাঁর জন্য প্রার্থনা করি তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন এবং তোমাদের জীবনটাকে আরো সুন্দর করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।’ 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের পাটাতন তৈরী করেছেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন’। 

সভাপতির বক্তব্যে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের দেশের প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরের আলো প্রজ¦লিত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তাবায়ন করছেন। আমরা তার দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।’


উল্লেখ্য শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত ও বাংলা সঙ্গীত সংস্কৃতি শিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীতসহ মোট ৯টি দেশাত্ববোধক গানের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র ভাবনা ও পরিকল্পনায় ৯-২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, ধনধান্য পুষ্প ভরা, পূর্ব দিগন্তে, দাও সৌর্য্য দাও ধৈর্য্য, আনন্দলোকে মঙ্গল আলোকে, সত্য বল সুপথে চল, মঙ্গল হোক এই শতকে এবং এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের গানগুলোর ওপর প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সমন্বয় করেছন একাডেমির কন্ঠশিল্পী মো: আব্দুল্লাহেল রাফি তালুকদার। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এক হাজার শিশু শিল্পীর অংশগ্রহনে উদযাপিত হয় এই শিশু উৎসব।

গঙ্গা-ঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ শিরোনামে ৪০ মিনিটের পরিবেশনাটিতে সমন্বয় সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন সুজন মাহবুব। যন্ত্রসংগীতে ছিলেন শিল্পী দেবাশীষ দাস, মোঃ জিলানী, কফিল মাহমুদ, ফাহাল হোসেন গোলন্দাজ, জিনিয়া আফরীন, নূরে জান্নাত, জিয়াউল আবেদীন, নারায়ণ দাস লিটন, এবং তুষার কান্তি সরকার। নৃত্য পরিবেশনায় ছিলেন লায়লা ইয়াসমীন, রুহি আফসানা, নাইমুজ ইনাম নাঈম, ইমন আহমেদ, মিফতাহুল মিম, মার্সিয়া লায়লা জেবিন, মোরশেদুর রহমান এবং শেখ জাহিদ। অভিনয়ে ছিলেন জাহাঙ্গীর রানা, মূসা রুবেল, বিপুল দাস, আবু ইসলাম মুহাম্মদ ইতিহাস, শিশির কুমার রায়, অমিত হাসান, তাহাজ্জাত হুসাইন তাজ, তাহমিনা মুজিব মিতু, শায়েলা জান্নাত বিথী, মোহাঃ আব্দুল্লাহ আল মোনাক্কী, দ্বীপ সরকার, নাসরিন আকতার সোনিয়া, আলী আজম, তাসলিমা শিমু, আজমিরী এলাহি নীতি, ইউসরা এলাহি প্রিয়ন্তী, ইমতিয়াজ গনি খান, মাধবী কুজুর, ছোটন, রতœা, সংগীতা চৌধুরী। আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় ছিলেন তামান্না তিথি। সংগীত সমন্বয় করেছেন কমল খালিদ ও সহযোগিতায় ছিলেন আব্দুল্লাহ বিপ্লব, আলোকসজ্জায় ছিলেন বজলুর রহমান, সাউন্ড নিয়ন্ত্রনে মোঃ হোসেন।