Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-18

বিজয়ের মাস জুড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন:

১৭-২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ৯ দিনব্যাপী ‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ শুরু আজ

১৮-২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব

১৭-২৩ ডিসেম্বর ঢাকার ৩৬ টি স্থানে প্রদর্শিত হবে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী: আগামিকাল হবে মিরপুরে

 

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্র সংগীত উৎসব এবং অ্যাক্রোবেটিক উৎসব”। এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব।

আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ রোববার বিকাল ৫.৩০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন –“একে অপরের দু:খে আমরা যেন এগিয়ে আসি, আমরা চাই প্রত্যেক মানুষ মানবিক, সৃজনশীল ও শিল্প সমৃদ্ধ হোক। বাংলাদেশ শহীদদের দেশ, লালন, নজরুল রবীন্দ্রনাথের দেশ । আমরা সে কারণেই স্বপ্ন সংগ্রাম করছি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন করছি তার অংশ হিসেবেই আমাদের এই গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব। ৬৪ জেলায় এই উৎসব হয়েছে। আমরা প্রতিদিন এই উৎসবে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হবো”।  

এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। 

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যনন্দন (নৃত্য পরিচালক শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়) ‘আনন্দ ধ্বনি জাগাও’। পরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন তুরঙ্গমী (নৃত্য পরিচালক পুজা সেনগুপ্ত) ‘নন্দিনী’; সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার (নৃত্য পরিচালক আনিসুর ইসলাম হীরা) ‘বাংলাতে হয় সূর্যোদয়’; সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে (নৃত্যনন্দন পরিচালক শর্মিলী বন্দোপাধ্যায়) ‘পূর্ব দিগন্তে সূয উঠেছে’; সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার (নৃত্য পরিচালক আনিসুর ইসলাম হীরা) ‘বঙ্গবন্ধু মানেই শক্তি’; সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যদল তুরঙ্গমী (নৃত্য পরিচালক পুজা সেনগুপ্ত) ‘বাংলাদেশের মাটি’ এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্য শিল্পীরা ‘-মনে রং লেগেছে’।

এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সচিব জনাব খলিল আহমেদ; এছাড়াও একক সংগীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস ‘দেশাত্ববোধক মৌলিক গান’; একক সংগীত পরিবেশন করেন মনির বাউল ‘ওহো সাধে কি আর বাংলা মাগো’; সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীরা ‘ধন্য মুজিব ধন্য’; দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন মো: সোহানুর রহমান ও রোকসানা আক্তার ‘ এই বুকে বহে যমুনা’ এবং  জাপানী শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত সংগীত পরিবেশিত হয়। আবৃত্তি পাঠ করেন কল্লোল ও কাজী বুশরা আহমেদ তিথি। এছাড়াও তারকা শিল্পী হিসেবে পরিবেশনায় যুক্ত হোন আহসান হাবীব নাসিম এবং স্বাগতা।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন ডালিয়া আহমেদ

গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব

আগামিকাল ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় উদ্বোধনের মাধ্যমে একযোগে সারাদেশে শুরু হবে গণজাগরণের যন্ত্র সঙ্গীত উৎসব। সারাদেশের ৬৪ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। আগামিকাল ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। ৮-২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে গণজাগরণের যন্ত্র সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

 

অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী:

আজ থেকে শুরু হলো গণজাগরণের অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ভ্রাম্যমান অ্যাক্রোবেটিক দল ঢাকা মহানগরের ৩৬ টি স্থানে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করবে। প্রথম দিনের আজকের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। ১৭-২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে এ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী হবে। আগামিকাল অ্যাক্রোবেটিক দল থাকবে মিরপুরে বাংলা কলেজ, শেখ রাসেল মাঠ, গোলারটেক, মুকুল ফৌজ মাঠ, জল্লাদখানা।