Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩

‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপিত নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা


প্রকাশন তারিখ : 2023-10-19

‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপিত

নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা

 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন এবং ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৩ শতাধিক শিশুদের উপস্থিতিতে উৎসব মুখর আয়োজনে পালিত হলো দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। দিনব্যাপী আয়োজনে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, পত্রলেখা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শিরোনামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার  শুরু হয় শেখ রাসেল এঁর বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্যে দিয়ে। সকাল ১০.০০ টায় একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর নেতৃত্বে, সচিব জনাব সালাহ্‌উদ্দিন আহাম্মদ, একাডেমির পরিচালক, শিল্পীবৃন্দ, সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

 

সকাল ১১.৩০ টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব খলিল আহমদ। আলোচনা উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং কবি নজরুল ইন্সটিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘যেকোনো জন্মদিন আমরা সাধারণত আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপন করি। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমরা উল্লাস করতে পারি না, বেদনায় নীল হয়ে যাই, নিদারুণ বিষাদের ছায়া আমাদের উপর ভর করে। নিষ্পাপ, কোমলমতি শিশুটিকে কি নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। চিন্তা করলেই আঁতকে উঠি। হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। যে পৃথিবীতে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়, শেখ রাসেল হত্যার মধ্য দিয়ে সে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী বলেন- “বঙ্গমাতা বিখ্যাত দার্শনিক বার্টন রাসেলের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন শেখ রাসেল। কিন্তু ৫ হাজার বছরের সাংস্কৃতিক শিকড় ধ্বংস করার লক্ষ্যেই ৭৫ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে শিশু শেখ রাসেলকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সকল অপপ্রচার বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের বলিষ্ঠ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিজেদের জাতিগত দুর্বলতা থেকে বেরিয়ে সকল অপপ্রচার, ধর্মান্ধতা মোকাবেলা করতে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আর কোন যুদ্ধ নয়।’

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বক্তব্য শেষে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু সংগীত দল পরিবেশন করেন সমবেত সংগীত ‘শুভ শুভ জন্মদিন শেখ রাসেলের জন্মদিন।’ নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা পরিবেশন করেন একক সংগীত ‘আজকের দিনে ৩২ নম্বরে’; শিল্পী বিশ্বাস পরিবেশন করেন ‘রাসেল মানে সবার আপন।’ শিশুকন্ঠে পরিবেশিত হয় নাবিদ রহমান তুর্যের আবৃত্তি। এছাড়াও একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মাহিদুল ইসলাম মাহী। সবশেষে পরিবেশিত হয় একাডেমির শিশু নৃত্যদলের পরিবেশনায় সমবেত নৃত্য ‘মন ছিলো তার শঙ্খচিলের ডানা।’

 

বিকাল ৩.০০ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ‘শেখ রাসেল এঁর প্রতি শিশুদের পত্র লেখা প্রতিযোগিতা’। ঢাকা মহানগরীর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু- কিশোরদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় ও বিশেষ স্থান অর্জনকারীদের সনদপত্র এবং সকল প্রতিযোগিকে অংশগ্রহণকারী সনদপত্র প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৩ শতাধিক শিশুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন একাডেমির মহাপরিচালক।

 

বিকাল ৪.০০ টায় চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় ‘আমার তুলিতে শেখ রাসেল’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ৮-১২ বছর বয়সী শিশুদের অংশগ্রহণে  জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এ সময় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের অবিভাবকরা একাডেমির কার্যক্রমের ভুয়সী প্রসংশা করেন।

 

এছাড়া্ও, শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করা হয়েছে- রচনা প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিষয় ‘প্রিয় শেখ রাসেল’, ১৩ - ১৮ বছর বয়সের শিশুরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলায় ১০০০-১২০০ শব্দে ১৫ নভেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে রচনা জমা দিতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অর্থমূল্য, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।