Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪

শিল্পবন্ধু পর্ষদের আয়োজনে শুভেচ্ছায় সিক্ত ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী; ৬৮ তম জন্মদিন পালিত


প্রকাশন তারিখ : 2024-01-15

শিল্পবন্ধু পর্ষদের আয়োজনে শুভেচ্ছায় সিক্ত

ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী; ৬৮ তম জন্মদিন পালিত

 

“সহকর্মী বন্ধুর মতো লিয়াকত আলী লাকী সবার আগে এগিয়ে এসেছেন, চাইলে অনেক কিছু হতে পারতেন কিন্তু নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন কর্মের মধ্যে, শিশুদের মধ্যে; বাঙালিত্ব ছড়িয়ে দিয়েছেন সবার মাঝে ”- আতাউর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব। 

“সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে লিয়াকত আলী লাকী সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে আদর্শকে জীবনে ধারণ করেছেন তা আজীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন”- গোলাম কুদ্দুস, সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

 

“যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন আমরা শুরু করেছি, তা হয়তো সফল করে যেতে পারবোনা। তবে যারা আজ আমার পাশে আছে তারাই সফল করবে এবং দেশকে উন্নত করবে”– লিয়াকত আলী লাকী।

 

ন্যাটাঙ্গনের সকলের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ঋত্বিক নাট্যজন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। শিল্পবন্ধু পর্ষদের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গুণীজন জনাব লিয়াকত আলী লাকীর ৬৮ তম জন্মদিন। দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদেশ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে শিশু শিল্পীরা। বিকেলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন দলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বরা।

 

অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মহাপরিচালককে। বক্তব্যে তিনি বলেন- “সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে লিয়াকত আলী লাকী সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে আদর্শকে জীবনে ধারণ করেছেন তা আজীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন।”তিনি বলেন –“লিয়াকত আলী লাকী সময়ের প্রতি দায়বদ্ধ একজন শিল্পী। মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতির আদর্শ তিনি ধারন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কঠিন সময়ে সৈরাচার বিরোধী লড়াই ,সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭৬ সালের সেই সময়ে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন, সংস্কৃতিকে ধারণ করেই আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন সবখানে”।

 

 

 

 

এর আগে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন “সহকর্মী বন্ধুর মতো লিয়াকত আলী লাকী সবার আগে এগিয়ে এসেছেন, চাইলে অনেক কিছু হতে পারতেন কিন্তু নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন কর্মের মধ্যে, শিশুদের মধ্যে; বাঙালিত্ব ছড়িয়ে দিয়েছেন সবার মাঝে ”।

 

এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট (আইটিআই) এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন এর সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ দেবনাথ। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মিনু হক, নাট্যব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন পথ নাট্য পরিষদের মিজানুর রহমান, আবৃত্তি পরিষদের আজাদুর রহমান আজাদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাবেক সেক্রটারী আকতারুজ্জামান, চারুশিল্পী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা। পরে বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী ফাতিমাতুজ্জুহুরা গানে গানে শুভেচ্ছা জানান জনাব লিয়াকত আলী লাকীকে। 

 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। মহাপরিচালককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভার্চুয়ালি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যদল । এছাড়াও জন্মদিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভিন্ন নাট্য সংগঠন, নৃত্য শিল্পী সংস্থা, সঙ্গীত, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গণের গুণী ব্যক্তিত্বরা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে সকল বিভাগ শিল্পী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে।

 

নানান আয়োজন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শেষ পর্যায়ে জেলা পর্যায় ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা সকল সংগঠন ও বিশিষ্টজনদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষমতায়ন জরুরি। যে রাজনীতিতে সংস্কৃতি, সাহিত্য নাই তা রাজনীতি হতে পারে না। রাজনীতির মাপকাঠি শিল্প- সাহিত্য, সংস্কৃতি।” তিনি আরো বলেন- “যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন আমরা শুরু করেছি, তা হয়তো সফল করে যেতে পারবোনা। তবে যারা আজ আমার পাশে আছে তারাই সফল করবে এবং দেশকে উন্নত করবে”। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ঘোষণা দেন তিনি। পরে মিলনায়তনে থাকা দর্শক এবং মঞ্চের শিশুদের নিয়ে সুর মিলিয়ে “মাগো ভাবনা কেন” গান পরিবেশন করেন তিনি।