সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’-র মুক্তমঞ্চে ‘প্রায় তিন/চারজন’ নাটক মঞ্চস্থ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘প্রচণ্ড কালেক্টিভ’ –এর আয়োজনে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’-র উন্মুক্তমঞ্চে ‘প্রায় তিন/চারজন’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে।গুম-খুন-ধর্ষণ সহ রাজনৈতিক নিপীড়ন নিয়ে নাটকটির চারটি প্রদর্শনী উৎসর্গ করা হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে লিখিত পত্রে জানানো হয়েছে, “গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনামাফিক চারটি শো শেষ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। প্রতিটি শো তার আগেরটির থেকে ক্রমশই একটু করে জান্তব হয়ে উঠছিলো। নবীন এই দলটি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে নাটকের অর্থ দর্শকের কাছে পৌঁছে দেবার। নাটক ঘিরে মানুষের স্পৃহা ও স্পন্দন দেখে আমরা আশাবাদী যে, আগামীতে এই নাটকটি আবারও দর্শক গ্রহণ করবে”।
মুক্তমঞ্চ দর্শক উপস্থিতিতে ছিলো পরিপূর্ণ। বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়েও নাটক দেখেছেন অনেক দর্শক। এই বিচিত্র জনস্রোত অবিভূত করেছে আয়োজকদের। তাদের মতে, “নৃবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আমাদের ভাবায় - অর্থনৈতিক-মতাদর্শিক-রাজনৈতিক যে “নেক্সাস অফ ইভেল” কখনো নিরাপত্তা, কখনো নগর উন্নয়ন, এমন নানা ছুতোয় এ দেশের সকল ‘কমন্স’ তথা গণপরিসর, অথবা ‘থার্ড স্পেস’গুলো গিলে ফেলে আসছে - সেখানে, বিপ্লবোত্তর সময়ে সমাজে গণমানুষের, ও তার সাথে সাথে শিল্পের এই ‘হোমকামিং’, এই ঘরে ফিরে আসা - অদ্ভুত ও প্রয়োজনীয়। আমাদের আগ্রহ, সতর্কতা এই নিয়েও যে, এই “গণ” কিভাবে কন্সটিটিউট হয় (বা কন্সটিটিউট করে নিজেকে), কিভাবে আবির্ভূত হয়, কেমন করে একই সাথে কালেক্টিভের তৎপরতা গণের কাছে দায়বদ্ধ থেকেও যাতে জনতুষ্টিবাদি না হয়ে ওঠে, যাতে রাষ্ট্রের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক ইতিহাস-রাজনীতি বিবর্জিত স্যানিটাইজড ‘আর্ট’-এ পতিত না হয়।
তবে তার মাঝে বিরাজ করে বহু নুয়ান্সও। যেমন, প্রথম দুই প্রদর্শনীর সময়, বিশেষ করে নারী চরিত্রের বেশ কিছু সংলাপের সময় দর্শকসারির কিছু দিক থেকে ক্যাটকল ভেসে আসে। তার একাংশ সমস্যাজনক মনে হলেও, আমরা ভাবি যে এতদিন তাদের এই ছাঁচেই ফেলে আসা হয়েছে, তাই তারা রেজোনেট করলেও প্রকাশের ভাষা, বা রেজোনেন্সের এই পারফর্ম্যান্সের তরিকা তাদের এটাই জানা। প্রচণ্ড কালেক্টিভ যেহেতু নাট্যকর্মী-আলোকচিত্রী-আঁকিয়ে-চিত্রনির্মাতা-এক্টিভিস্ট-গবেষক মিলে বহুমাত্রিক মাল্টিডিসিপ্লিনারি একটি ফ্রন্ট, সেহেতু কেবল নাটকটি ছাড়াও, তার সামাজিক জীবন, তার সাথে হেটেরোজেনাস দর্শকদের নানাবিধ এনগেজমেন্টের ভাষা, সেও আমাদের প্রবল আগ্রহের জায়গা”।
কলাকুশলীদের নাম
_______________
রচনাঃ জাহিদ সোহাগ
নির্দেশনাঃ সরওয়ার জাহান উপল
অভিনয়ঃ ফায়রুজ সাদেক ফারিহা, জেসিকা জাসিন্তা চিরান, ফারিহা জান্নাত মিম, রবি প্রারম্ভ, রিয়াসাত সালেকিন ঋত্বিক, জর্ডান নিলয়, স্বরূপ রতন লালন, ফাহাদ খান
শব্দ নিয়ন্ত্রনঃ নাহিয়ান হক, মোঃ মনসুর, মোঃ শরীফ
আলোক নিয়ন্ত্রনঃ মোঃ দুলাল, মোঃ ফয়সাল
কস্টিউম ডিজাইনঃ জেসিকা জাসিন্তা চিরান
সেট এন্ড প্রপ্সঃ আবিদ ওয়াসিক, রাফিউল আদিব
টেকনিক্যাল ম্যানেজারঃ মোঃ বজলুর রহমান
পোস্টার ডিজাইনঃ শাহেলা আক্তার উমামা
ব্যাকস্টেইজঃ আইনান আঞ্জুম সিবুন, রাফিউল আদিব, জান্নাত গুলরুখ, আহাদুজ্জামান পরাগ, রিগ্গি নকরেক সিল্ক্রিং, সুসান কবির, স্বপ্নীল চৌধুরী, বৃষ্টি রায়, টি এম নাহিয়ান লাবিব।