Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ দেশী ও বিদেশী শিল্পীদের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনায় মুখরিত জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন চলবে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত


প্রকাশন তারিখ : 2023-12-20

‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব’ দেশী ও বিদেশী শিল্পীদের বৈচিত্র্যময়

 পরিবেশনায় মুখরিত জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন

চলবে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত

শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। শিল্পের সকল শাখার সমন্বয়ে দেশব্যাপী বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের বাস্তবায়িত রুপ ‘‘গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব, যন্ত্র সংগীত উৎসব এবং অ্যাক্রোবেটিক উৎসব”। এই সামগ্রিক উন্নয়ন পক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলছে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব।

 

আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব এর তৃতীয় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যদল নৃত্যালোক, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন কবিরুল ইসলাম রতন, পরিবেশন করে ‘সবকটা জানালা খূলে দাও না’ এবং ‘ও আমার দেশের মাটি’। এছাড়াও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যদল কায়া আশ্রম নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন- অমিত চৌধুরী, পরিবেশন করে ‘মুক্তির আহ্বান’ ও ‘শোনো বাংলার জনসমুদ্র’। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম নৃত্যদল, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন তামান্না রহমান ‘জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ’ এবং ‘দৃষ্টি দিগন্তে আমার’ । এছাড়াও মনোজ্ঞ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল ‘মানবো না এ বন্ধনে।

অনুষ্ঠানে একক পরিবেশন করেন অন্তরা রহমান ‘সেই তুম’; বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী পরিবেশন করেন ‘কারার ঐ লৌহকপাট/ এই না বাংলাদেশের গান’; একক সংগীত পরিবেশন করেন রাফি তালুকদার ‘মামুনিয়া’। সংগীত পরিবেশন করেন অনুপমা মুক্তি গোমেজ। পরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিল্পীরা ‘ নোঙ্গর তোল তোল’। এরপর লোক সংগীত পরিবেশন করেন রতন মজুমদার।

মাঝ পর্যায়ে বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। মনোমুগ্ধকর চাইনিজ মার্শাল আর্ট পরিবেশন করেন চীনের শিল্পীরা- ইয়াং হই, রাও জিয়াহাও, জিন ইউ, ইন জু,জে মেঙ্গলি, ঝাও জিং ইয়ান, চি ইউজু’। এছাড়াও চায়নিজ জ্যাজ পরিবেশন করেন বিদেশী চাইনিজ শিল্পীরা- লি জিয়াওইউ, গুও ইয়াতিং, গং রুরু লি জিং।

আবৃত্তি করেন রফিকুল ইসলাম ও রুপ চক্রবর্তী।

এছাড়াও তারকা শিল্পী হিসেবে পরিবেশনায় যুক্ত হোন এম এম কামরুল হাসান রওনক এবং সাজু খাদেম। গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব নিয়ে এবং দেশের সংস্কৃতি চর্চার স্বরুপ নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে উৎসাহমুলক বক্তব্য প্রদান করেন তারা। সংস্কৃতির চেতনাবোধ এবং মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সংস্কৃতি চর্চায় শিশু ও তরুণদের উতসাহিত করার আহ্বান জানান তারা।  

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় ছিলেন- ফেরদৌস আরা বন্যা।