বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকা মহানগরের ৫৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি শিক্ষকদের নিয়ে অংশীজনের ১ম সভা অনুষ্ঠিত হলো আজ।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বৃহত্তর পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মহানগর সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩’। ঢাকা মহানগরের পাবলিক, প্রাইভেট ও বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই উৎসব। ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এর চলমান অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত প্রতিনিধি শিক্ষকদের নিয়ে আজ ১২ নভেম্বর, রোববার বিকেলে অংশীজনের ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে, সচিব জনাব সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ এর উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ জন প্রতিনিধি শিক্ষক ও একাডেমির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত শিক্ষকগণ এ অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে এ ধরনের উৎসব আয়োজন এবং তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা প্রদানের এ মহতী উদ্যোগের প্রসংশা করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্টপোষকতায় আইডিয়া ভিত্তিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর পরিসরে প্রত্ন নাটক মঞ্চায়ন এবং নতুন নতুন গল্প নিয়ে মঞ্চনাটক নির্মাণ অব্যাহত রাখার কথা তুলে ধরেন তারা। এছাড়া নতুন নতুন থিম ধরে অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ/কর্মশালা আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার কথা্ তুলে ধরেন তারা। বলেন, মাদক, সন্ত্রাসের মতো অপরাধী কর্মকান্ড দূরে ঠেলে শিক্ষাথীদের মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে আরো জোরদার হতে হবে।
পরে সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের সাংস্কৃতিক আবহ তৈরী করতে নানামুখী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’।
তিনি বলেন- “গ্রাম পর্যায়ে এক সময় ঘরে ফসল ওঠলে কৃষকরা যাত্রাপালার আয়োজন করতো উৎসব হিসেবে, গ্রাম পঞ্চায়েতরা এক সময় পথ নাটক করতো, শিল্পের বিকাশে তাদেরও ভুমিকা ছিলো, আমাদের সেই জায়গাগুলোতে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন”।
মহাপরিচালক বলেন- “৬৪ জেলার পাশাপাশি ৪৯৩ টি উপজেলায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রম বিস্তৃত হচ্ছে, ঢাকা মহানগরে কেবল একাডেমিতেই নয়, উত্তরা এবং মিরপুরেও আমাদের কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের হাজার বছরের বাঙালি ইতিহাস, বিকৃত করা চলবে না, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমেই তার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে”।
সবার সহযোগিতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনগুলোতেও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি।