Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ জুলাই ২০১৯

২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী


প্রকাশন তারিখ : 2019-07-01

23rd National Fine Art Exhibitionবাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী দেশের চারুশিল্পের বৃহত্তম উৎসব। ১৯৭৪ সালে সমকালীন চিত্রকলা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিষয়ক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ কর্মকাণ্ডের সূত্র ধরে ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু। প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এ প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ১ জুলাই ২০১৯ শুরু হয়েছে ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী।

প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠান ১ জুলাই ২০১৯ / ১৭ আষঢ় ১৪২২৬ রোজ সোমবার  বিকাল ৫ টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে একাডেমির যন্ত্রশিল্পীরা অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা  এইচ টি ইমাম প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন ও বিজয়ী শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী সকল শিল্পীকে অভিনন্দন জানিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এটি চমৎকার একটি প্রদর্শনী হবে। দেশ বিদেশে আমাদের শিল্পীদের যথেষ্ট মর্যাদা আছে। সবাইকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে শিল্পকর্ম ক্রয় করার আহ্বান জানাই।’

বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র সভিাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু। 

এবারের প্রদর্শনীতে ৩১০ জন ‍শিল্পীর ৩২২ টি শিল্পকর্ম স্থান পাচ্ছে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, কারুশিল্প, স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এছাড়া ও আছে কৃৎকলা (পারফরমেন্স আর্ট)। আবেদনকারী ৮৫০ জন শিল্পী থেকে বাছাইকৃত ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২ টি শিল্পকর্মের মধ্যে ১৫৯ ‍টি চিত্রকলা, ৪৫ ‍টি ভাস্কর্য্, ৫০ টি ছাপচিত্র, ১৭ ‍টি কারুশিল্প, ৮ ‍টি মৃৎশিল্প , ৩৭ টি স্থাপনা ও ভিডিও আর্ট  , ০৭ ‍টি কৃৎকলা (পারফরমেন্স আর্ট)।

প্রাথমিক পর্যায়ে শিল্পকর্ম বাছাই  কমিটিতে ছিলেন শিল্পী নাসরিন বেগম , শিল্পী মোস্তাফিজুল হক , শিল্পী শেখ সাদী ভূইয়া , শিল্পী ড. মোহাম্মদ ইকবাল ও শিল্পী আনিসুজ্জামান । পুরস্কারের জন্য সেরা শিল্পকর্ম বাছাইয়ে বিচারক হিসেবে ছিলেন শিল্পী আব্দুস শাকুর শাহ, স্থপতি শামসুল ওয়ারেস, শিল্পী রণজীৎ দাস , শিল্পী ড. ফরিদা জামান ও শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস দায়িত্ব পালন করেন।

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে মোট ৮ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী কামরুজ্জামান যার আর্থিক মূল্যমান ২ লক্ষ টাকা। ‍চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র , স্থাপনা- এই চারটি বিভাগে সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে শিল্পী রাফাত আহমেদ বাঁধন, শিল্পী তানভীর মাহমুদ, শিল্পী রুহুল করিম রুমী, শিল্পী সহিদ কাজী। প্রতিটির আর্থিক মূল্যমান ১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী উত্তম কুমার তালুকদার যার মূল্যমান ১ লক্ষ টাকা। দীপা হক পুরস্কার পেয়েছেন সুমন ওয়াহিদ যার মূল্যমান ২০ হাজার টাকা ও চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ান হোসেন পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী ফারিয়া খানম তুলি যার মূল্যমান  ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে ।

প্রদর্শনীটি ১-২১ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত চলবে । প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা ও শুক্রবার বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে। গত ৩০ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটায় জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া, চারুকলা বিভিাগের পরিচালক শিল্পী আশরাফুল আলম পপলুসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে অব্যাহত রাখতে 1974 সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার চর্চা ও বিকাশের উদ্দেশ্যে শিল্পসংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।  প্রতি দুই বছর পরপর একাডেমির চারুকলা বিভাগ নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী, জাতীয় ভাস্কর্য্য প্রদর্শনী, দ্বিবার্ষিক এশিয় চারুকলা প্রদর্শনী, জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রদর্শনী আয়োজন করে থাকে।