Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জমজমাট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পিঠা উৎসব; গ্রাম বাংলার বাহারি স্বাদের পিঠা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা


প্রকাশন তারিখ : 2024-02-04

জমজমাট বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পিঠা উৎসব; গ্রাম বাংলার বাহারি স্বাদের পিঠা

খেতে স্টলগুলোতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা

 

২য় দিনে জমজমাট জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০। আজ ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২য় দিনে বিকাল থেকেই জমে ওঠে পিঠা উৎসব। সন্ধ্যার হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে মাঠের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় খানিক বিরতি পরলেও পিঠার স্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত থাকেন পিঠা প্রেমীরা। গরম গরম তেলে ভাজা পিঠার স্বাদ নিতে স্টলে স্টলে ভিড় করেন তারা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পারিবারিক ঐতিহ্যগতভাবে যারা পিঠা তৈরী করেন সেই শিল্পীদের নিয়ে ৫০ টি স্টল স্থান পেয়েছে এবারের পিঠা উৎসবে। পার্বত্য এলাকা থেকে শুরু করে নগরের বিভিন্ন ধরনের আদি পিঠা স্থান পেয়েছে স্টলগুলোতে। বিবিখানা, জামাই আদর, ডিম সুন্দরী, ক্ষ্যাতাপুরী, ক্ষীর পাটিসাপটা, নারিকেল গুড়ের পুলিপিঠা, খেজুর গুড়ের পিঠা, সাংগ্রাই মুং, আদিবাসীদের কলা পাতার পিঠা, কালো বিন্নি চালের পায়েস, চালের ছোট রুটির সাথে পুর সবজি, ছিটা পিঠাসহ নানা ধরনের আদি পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন শিল্পীরা।

 

অন্যদিকে পরিবেশিত লোক হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠার সাথে লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সঙ্গীত ও নৃত্য উপভোগ করেন আগত পিঠাপ্রেমী ও দর্শকরা।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় লোক নৃত্য। এর পর পরিবেশিত হয় বিশেষ লোকসঙ্গীতানুষ্ঠান-বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আবহমান বাংলার লোকনন্দন পরিবেশনানৃত্য ‘আয় ছুটে আয়’ পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। পরিচালনায় সাদিয়া রহমান। এরপর কবি-জসীম উদ্দীন এর কবিতা ‘কমলা রানীর দিঘি’ আবৃত্তি করেন ইকবাল খোরশেদ। একক সংগীত ‘আমার নিঠুর মনোহর’পরিবেশন করেন দেবিকা শ্রেয়সী। এরপর আবার একক সংগীত পরিবেশন করেন আসগর আলীম ও ড.শ্যাওলী। সমবেত নৃত্য ‘মোর বন্ধু বাজায় ঢোল’ পরিবেশন করে নন্দন কলা কেন্দ্র, নৃত্য পরিচালনা করেন এম আর ওয়াসেক।

এরপর আবার আবৃত্তি করেন ইকবাল খোরশেদ। একক সংগীত পরিবেশন করেন দিতি সরকার ও সুমন রায়। এরপর সমবেত নৃত্য ‘জলে গিয়েছিলাম সই’ পরিবেশন করে বহ্নিশিখা নৃত্যদল, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সাদিয়া রহমান। এরপর আবার সৈয়দ শামসুল হক এর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্মুম কাকলী। লালন গীতি ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’পরিবেশন করেন প্রাঙ্গন সরকার। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন রুকসানা আক্তার রুপসা।

একক সংগীত রমেশ শীল এর গান পরিবেশন করেন মুরাদ হোসেন। এরপর আফসানা হক ইমু পরিবেশন করেন শাহ আলম সরকার এর গান ‘দিলনা দিলনা নিল মন দিলনা’। সবশেষ পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘এলা মোর পায়ে বা’। নৃত্য পরিবেশন করে নন্দন কলা কেন্দ্র এবং পরিচালনায় ছিলেন এম আর ওয়াসেক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগীতা চৌধুরী ও আব্দুল্লাহ বিপ্লব।

জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪৩০, ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।