Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ নভেম্বর ২০২৩

পর্দা উঠলো ‘গণজাগরনের যাত্রাপালা উৎসব’ এর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হলো ১৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসব


প্রকাশন তারিখ : 2023-11-07

পর্দা উঠলো ‘গণজাগরনের যাত্রাপালা উৎসব’ এর

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হলো ১৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা উৎসব

 

 “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আছে বলেই নানাভাবে সংস্কৃতির চর্চা চলছে”- কে এম খালিদ, প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

 

তারিখ: ০২-০৬ নভেম্বর ২০২৩

সময়: প্রতিদিন ৬:০০মিনিট

স্থান: উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

৪২ টি জেলায় যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে ০৬-২০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত।

 

‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। লোক ঐতিহ্যের এক সমৃদ্ধ রুপায়ব যাত্রাপালা। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তার। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পন স্বরুপ কাজ করে যাত্রাপালা।  

পর্দা ওঠলো ১৯ দিনব্যাপী গণজাগরণের যাত্রা উৎসবের। আজ ০২রা নভেম্বর সন্ধ্যা ৬.০০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলগুলোর সাথে সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যাপী ১২০ টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪২টি জেলায় ০২-২০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব ২০২৩’। আগামী ০৬ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ১৫টি যাত্রাদলের অংশগ্রহণে যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে। উদ্বোধনী আয়োজনে আলোচনা পর্ব শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালেদ এমপি।

তিনি বলেন- ‘গ্রামে নতুন ধান ওঠার পরই এই যাত্রা আয়োজনের ধুম পড়তো। সেই মিউজিক, ডায়লগ, এটিই যাত্রার আদি ধারা। তবে গ্রামে গঞ্জে এখন যাত্রায় কিছুটা অশ্লীলতা চলে আসে, অস্বীকার করার উপায় নেই। এখন টাকা দিয়ে কেউ যাত্রা দেখতে চায় না। তাহলে দলগুলো চলবে কিভাবে?’

এ উৎসব আয়োজনের জন্য একাডেমির মহাপরিচালককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন -‘যাত্রার মুল আয়োজনের কারিগর তিনি। তিনি শিল্পের সবচক্ষেত্রেই কাজ করছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আছে বলেই সংস্কৃতির চর্চা চলছে। ১২০ টি দলকে একত্রিত করে তাদের পালা করার জায়গা করে দেয়া এটা বিশাল বড় বিষয়”।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই উৎসব আয়োজনের জন্য প্রসংশা করে তিনি বলেন ‘আমরা পরের বছর প্রত্যেক জেলায়  ৪৯২ টি উপজেলায় যাত্রা উৎসবের আয়োজন করবো, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অবশ্যয় পাশে থাকবে।” তিনি আরো বলেন- “এই সরকার ক্ষমতায় না আসলে আবার মৌলবাদীরা আসবে, তারা আবার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে।” বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শুরুতেই একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকায় ০৫ দিনের যাত্রাপালা ১ দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধুর কারাবাস নিয়ে ‘নি:সঙ্গ লড়াই’ যাত্রাপালা ৭ নভেম্বর সমাপনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে।

সন্তানদের নিয়ে যাত্রা পালা দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন- ‘আপনারা সন্তানদের নিয়ে আসেন, লোক সংস্কৃতির এই আদি ধারা দেখে তারা বড় হয়ে অন্তত বলতে পারবে যে আমার বাবার সাথে যাত্রাপালা দেখেছি। বাংলাদেশের যাত্রাপালা সারা বিশ্বের মধ্যে এই একটাই ফর্ম। এই ফর্মে আর কোথাও যাত্রাপালা হয় না। সংস্কৃতির এই ধারা রক্ষা করতে অবশ্যয়  সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যম প্রায় ২০০শতাধিক যাত্রা দল নিবন্ধিত হয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে যাত্রাপালার আয়োজন করতে হবে, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত হতে হবে, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে যুক্ত হতে হবে তাহলেই এই যাত্রা আগের জৌলুস নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবে।”

আলোচক হিসেবে উপস্থিত অতিথিও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এই উদ্যোগের প্রসংশা করেন। তারা বলেন- “লোকসংস্কৃতির যত মাধ্যম আছে তার মধ্যে অন্যতম যাত্রাপালা। যারা যাত্রাপালা দেখেন তাদেরও বিবেক চর্চা হয়। এক্ষেত্রে শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন নি:সন্দেহে প্রসংশনীয়”।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নানাভাবেই যাত্রাশিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দুটি রেপাটরি যাত্রা নির্মাণ ছাড়াও ইশা খাঁ নামে বাংলাদেশে প্রথম ভিন্ন ধারা প্রত্ন যাত্রা নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।  

আজ ০২ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে শুরুতেই যাত্রাদল লোকনাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ পরিবেশিত হয়। এরপর যাত্রাদল জ্যোতি অপেরা পরিবেশন করে যাত্রাপালা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’ এবং যাত্রাদল বাংলার বাণী অপেরা পরিবেশন করে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও দেশ’।

০৩ নভেম্বর ২০২৩

গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসবে যেসব যাত্রাদলের পরিবেশনা থাকবে-

 

যাত্রাদল স্বাধীন বাংলা নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় যাত্রাপালা ‘আলোর পথে’ পরিবেশিত হবে। যাত্রাদল মহানগর পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল শিখা নাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’।

 

০৪ নভেম্বর ২০২৩

গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসবে যেসব যাত্রাদলের পরিবেশনা থাকবে-

 

যাত্রাদল প্রগতি নাট্য সংস্থার পরিবেশনায় থাকবে যাত্রাপালা ‘একজন রহিমুদ্দি’; যাত্রাদল নিউ লোকনাথ অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জননী জন্মভুমিশ্চ’ এবং যাত্রাদল বন্ধু অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’।

 

০৫ নভেম্বর ২০২৩

গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসবে যেসব যাত্রাদলের পরিবেশনা থাকবে-

 

যাত্রাদল সীমা অপেরার পরিবেশনায় থাকবে যাত্রাপালা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’। যাত্রাদল গোল্ডেন-৯ নাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল জয়যাত্রা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

 

০৬ নভেম্বর ২০২৩

গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসবের ৫ম দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পরিবেশনা থাকবে-

 

যাত্রাদল স্বরুপ কথার পরিবেশনায় থাকবে যাত্রাপালা ‘একজন রহিমুদ্দি’। যাত্রাদল নিউ শামীম নাট্য সংস্থা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং যাত্রাদল একতা অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও মানুষ’।

০৬-২০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেশের ৪২ টি জেলায় বিভিন্ন দলের পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চলবে এই যাত্রাপালা উৎসব। যাত্রাপালা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।