বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে
বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত
আজ ২২ মার্চ ২০২৫ বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের যৌথ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মূকাভিনয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ফরাসি মূকাভিনয় শিল্পী মার্সেল মার্সোর ১০২তম জন্মদিন হওয়ায় এ বছরের আয়োজনটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংগঠক সোলেমান মেহেদী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, আলোচনা পর্বে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মূকাভিনয়জন জাহিদ রিপন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির
নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপপরিচালক
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। মূকাভিনয় শিল্পের ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। মূকাভিনয় শিল্পের পথিকৃৎ ব্যক্তিত্বদের মূকাভিনয় চর্চা নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মূকাভিনয়ে আধুনিকায়নে পার্থ প্রতীম মজুমদার, কাজী মশহুরুল হুদা, জিল্লুর রহমান জন, দেবাংশু হোর এবং বাংলাদেশের নবধারার মূকাভিনয়ের প্রতিষ্ঠাতা আন্তর্জাতিক মূকাভিনেতা রিজোয়ান রাজনের ভুমিকা স্মরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতাউত্তর চট্টগ্রামের প্রথম মূকাভিনয় শিল্পী দেওয়ান মামুন ।
এদিনের আলোচনায় মূকাভিনয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তারা দেশের মূকাভিনয় চর্চার উন্নয়ন ও প্রসারে নানা কর্মসূচি গ্রহণের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানটি শেষে বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশনের সদস্যভুক্ত দল, মিরর মাইম থিয়েটার, দ্য মামার্স, শাওন মাইম একাডেমি এবং মাইম ট্রুপ মূকাভিনয় পরিবেশন করে। এদিকে সন্ধ্যা ৭:৩০ মি. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটারে, বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ মঞ্চায়ন করে স্বপ্নদল প্রযোজনা মূকনাট্য "ম্যাকবেথ " এবং চট্টগ্রামে সাইলেন্ট থিয়েটার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় দিবসটি পালন করে ।
বিশ্ব মূকাভিনয় দিবসের এই অনুষ্ঠানটি মার্সেল মার্সোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয়। মার্সেল মার্সো ১৯২৩ সালের ২২ মার্চ ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাঁর প্রয়াণের পর থেকে এই দিনটি বিশ্বব্যাপী মূকাভিনয় দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মূকাভিনয় শিল্পের প্রতি দেশবাসীর শ্রদ্ধা ও আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে, এবং এই শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করা হয়।